সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত না করে, ঘরে ফিরে যাব না : মির্জা ফখরুল

ক্ষমতাসীন সরকারের পতন নিশ্চিত না করে ঘরে ফিরে যাবেন না বলে দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত না করে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে না এনে, আমাদের অধিকারকে ফিরিয়ে না এনে এবার ঘরে ফিরে যাব না।

সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ৭ নভেম্বর 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে উন্মুক্ত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বক্তব্য দেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, চেয়ারপারসনে উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, শিরিন সুলতানা, রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে তারা নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে নতুন অধ্যায় রচিত হয়েছিল। সেটা ছিল সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের অধ্যায়, একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের অধ্যায় এবং সেই কাজটি জিয়াউর রহমান মাত্র চার বছরের মধ্যে সমগ্র বিভক্ত বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তিনি একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন। কথা বলার স্বাধীনতা, সংগঠন করার স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকারগুলো ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি এই অল্প সময়ের মধ্যে সমগ্র জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সেই স্বপ্ন হচ্ছে একটি জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার স্বপ্ন।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জনগণের সমস্ত অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের ওপর স্ট্রিম রোলার চালিয়ে আমাদের ছেলেদের হত্যা করে, গুম করে, আমাদের মা বোনদের বেইজ্জত করে, আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে আজকে আবার বাংলাদেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে চায়।  এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, পদত্যাগ করে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে জনগণের সরকার গঠিত হবে। আমরা ইতোমধ্যে অনেক ত্যাগ স্বীকার করছি, অনেকে গ্রেফতার হচ্ছে, জেলে যাচ্ছে। গণতন্ত্রকে পেতে হলে, স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হলে, আমাদের অধিকার ফিরে পেতে হলে এর মধ্য দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। স্বাধীনতার পতাকে তুলে ধরতে হবে।